আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কোন প্রার্থী কত টাকা ব্যয় করতে পারবেন তা মনে করিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা ও রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতির কথাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ মার্চ) ইসির জারি করা এক পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ উপলক্ষে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা ও রিটার্ন ইত্যাদি জানাতে হবে।
স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৮ অনুসারে প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সাথে নির্ধারিত ফরমে সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী সংযুক্ত করে দাখিল করতে হবে। সম্ভাব্য উৎসের বিবরণীর সাথে প্রার্থী আয়কর দাতা হলে আয়কর রিটার্ন, কর পরিশোর প্রমাণপত্র ও অন্যান্য কাগজাদিও দাখিল করতে হবে। সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণীতে তথ্য দাখিল করতে হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্রের সাথে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের সম্ভাব্য উৎস সম্পর্কে একটি বিবরণী দাখিল করতে হবে।
নিজ আয় হতে যে অর্থের সংস্থান করা হবে তার পরিমাণ এবং উক্ত আয়ের উৎস; প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে কর্জ করা হবে বা দান হিসেবে পাওয়া যাবে এরূপ সম্ভাব্য অর্থ এবং আত্মীয়-স্বজনের আয়ের উৎস; কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা হতে স্বেচ্ছা প্রদত্ত দান বাবদ প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ এবং অন্য কোনো উৎস হতে প্রাপ্য এরূপ অর্থ এবং উক্ত আয়ের উৎস উল্লেখ করতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন। আর তার নির্বাচনের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী ব্যয় বাবদ ৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।